প্রকাশ: ৩ মে ২০১৯ | ১:২৮ অপরাহ্ণ আপডেট: ৩ মে ২০১৯ | ১:২৮ অপরাহ্ণ
এই পোস্টটি 1397 বার দেখা হয়েছে
বড় বিপদের ‘লক্ষণ’? উড়ে গেল পুরী মন্দিরের সেই পতাকা! কোনও মারাত্মক বিপর্যয় নিয়ে কি ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী? এমন আশঙ্কার মূলে রয়েছে একটিই কারণ। এখনও পর্যন্ত ফণীর দাপট শুরু না হলেও সামান্য ঝোড়ো হাওয়াতেই উড়ে চলে গেল ভারতের উড়্যিষ্যার পুরী জগন্নাথ মন্দিরের সেই বিখ্যাত পতাকা! যা অত্যন্ত অশুভ লক্ষণ বলেই মনে করছেন পুরী মন্দিরের পান্ডা থেকে শুরু করে ভক্তরা-সকলেই। বহু পুরনো রীতি। ভক্তদের কাছে পুরী মন্দিরের এই পতাকা অত্যন্ত শুভ বলেই পরিচিত। সেই পতাকার মাপ এতদিন ছিল ১২ হাত। বিরাট আকারের সেই পতাকাই মন্দির চূড়ায় পতপত করে উড়ত। কিন্তু ফণী আসার পূর্বাভাস আসতেই প্রশাসনের নির্দেশে সেই পতাকার মাপ ১২ থেকে কমিয়ে ৫ হাত অর্থাৎ ১২ ফুট করা হয়।
বুধবারই তা লাগানো হয় মন্দিরের চূড়ায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালেই ঘটে বিপর্যয়। সকাল ৮.৩৫ মিনিটে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে সেই পতাকা উড়ে যায়। যা অত্যন্ত অশুভ লক্ষণ বলেই মনে করছেন সকলে। তবে, আজই বিকেলে ওই পতাকা আবার লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে মন্দির সূত্রে। ফণীর কারণে ইতোমধ্যেই পুরী ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পুরীর খুব কাছেই এখন অবস্থান করছে ব্যাপক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী। প্রসঙ্গত, এই ঐতিহাসিক জগন্নাথ মন্দির ১০৭৮ সালে তৈরি হয়। ১১৭৪ সালে তা মেরামতির পর আজকের জগন্নাথ মন্দিরর রূপ ধারণ করে। এই পুরী জগন্নাথ মন্দিরের কিছু অলৌকিক বৈশিষ্ট্য আছে বলে বিশ্বাস স্থানীয়দের। মন্দিরের চূড়ায় যে পতাকাটি লাগানো রয়েছে তা সবসময় হাওয়ার বিপরীত দিকে ওড়ে। সাধারণত দিনের বেলায় হাওয়া সমুদ্রের দিক থেকে তটের দিকে আসে। আর সন্ধ্যের সময় তটের দিক থেকে সমুদ্রের দিকে হাওয়া চলে। কিন্তু পুরীর ক্ষেত্রে তা ঠিক উল্টো। সকাল তটের দিক থেকে সমুদ্রের দিকে হাওয়া চলে, এবং সন্ধ্যায় সমুদ্রের দিকে থেকে তটের দিকে হাওয়া বয়। কোনও পাখি বা বিমান পুরী মন্দিরের উপর দিয়ে উড়তে পারে না। মন্দিরের সবচেয়ে বড় প্রাসাদটির ছায়া দিনের যে কোনও সময় অদৃশ্য থাকে। মন্দিরের ভিতরে সিংহদ্বারের মন্দিরে প্রবেশ করার পর প্রথম সিঁড়িতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের আওয়াজ আর শুনতে পারবেন না। কিন্তু ওই সিঁড়িটি টপকে গেলে আবার সমুদ্রের শব্দ শুনতে পাবেন। সন্ধ্যাবেলায় এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়।
পুরীর মন্দিরের মাথায় প্রতিদিনই ধ্বজা বা পতাকা পরিবর্তন করা হয়। বলা হয় ধ্বজা পরিবার্তন না করলে আগামী ১৮ বছরের জন্য পুরী মন্দির বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এদিকে, পুরীর মন্দিরের পতাকা হাওয়ার উল্টো দিকে নয় , বরং হাওয়ার দিকেই ওড়ে। এই আশ্চায বিষয়ের এখনও কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
কেউ ভয় পাবেন না। ভগবানের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না। রাখে কৃষ্ণ, মারে কে! ‘অবশ্য রক্ষিবে কৃষ্ণ, বিশ্বাস পালন।’ ভগবান যা করেন, আমাদের মঙ্গলের জন্য করেন। কিন্তু আমাদের কর্মফল আমাদের দুঃখ দেয়। তাই ভীতসন্ত্রস্ত না হয়ে ভগবান শ্রীজগন্নাথদেবের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখুন আর অধিক হরিনাম করুন। জয় জগন্নাথ।