ইস্‌কন দক্ষিণ আফ্রিকার কম্বল বিতরণ কর্মসূচী

প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 220 বার দেখা হয়েছে

ইস্‌কন দক্ষিণ আফ্রিকার কম্বল বিতরণ কর্মসূচী

রবি রামগুলাম: ইস্‌কন পোর্ট এলিজাবেথ ফুড ফর লাইফ প্রকল্পের প্রধান প্রতিনিধি শ্বেতদ্বীপ দাস বলেন, “আমাদের অধিকাংশের কাছেই শীত মানেই আরামদায়ক রাত, উষ্ণ কম্বল এবং আগুনের নিকট বসে এক কাপ গরম চকলেট। কিন্তু রাস্তায় যারা রয়েছে তাদের জন্য এটি পরিণত হয় বেঁচে থাকার লড়াইয়ে।” ইস্‌কন পোর্ট এলিজাবেথ, দক্ষিণ আফ্রিকার সদস্যবৃন্দ সমাবেত হলো এবং ফুড ফর লাইফ টিম কম্বল বিতরণ কর্মসূচী শুরু করলো। সেখানে অসচ্ছল লোকেরা তাদের আর্থিক এবং পরিবেশগত উভয় অবস্থার বিরুদ্ধে অসহায় ছিল। তাই তারা এই কঠোর শীত মৌসুমে উদ্যোগ নেন সেসকল অসচ্ছল মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করার। কারণ, তাদের অনেকেই গরম কাপড় না থাকায় অনেক কষ্টের সহিত দিনাতিপাত করেন। শ্বেতদ্বীপ দাস বলেন, “হাজার হাজার মানুষ সে শহরের প্রান্তবর্তীস্থানের কুটিরগুলোতে বসবাস করছে। আমি কেবল আজকেই ফুড ফর লাইফের কেন্দ্রে এসেছি এবং আমরা খুব বেশি সময়ের জন্য দাঁড়াতে পারিনি, কারণ আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা এবং ঝড়ো ছিল।” অসহায় মানুষদের দুঃখ-দুর্দশা উপশমের জন্য এবং বিশেষ করে কুঁড়েঘরে থাকা শিশুদের জন্য, পোর্ট এলিজাবেথের দুজন উদার ও দয়ালু যুবতী নিকিতা রাগা এবং র‌্যাকুয়েল ভ্যান নোই ডোরাস্বামী শীতের সময় কম্বল উপহার দিয়ে তাদের সেবা করার জন্য একত্রিত হন। শ্বেতদ্বীপ দাস যেভাবে স্থানীয় জনগণের কাছে কম্বল বিতরণ এবং ফুড ফর লাইফ সম্বন্ধে দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে, এতে করে সেসব স্থানীয় বাসিন্দারা ইস্‌কন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি অনুরাগী এবং প্রশংসাপ্রবণ হয়।


তিনি বলেছিলেন “মানুষ খুব কমই আমাদের কথা শুনতো বা বই নিয়ে যেতো। বহু বছর ধরে আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু এরপর যখন আমরা ফুড ফর লাইফের কার্যক্রম শুরু করেছিলাম এবং এর মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম প্রসার করা শুরু করি মানুষকে কীর্তন ও হরিনাম জপ করানোর মাধ্যমে, তারা এখন ইস্‌কনকে সম্মানের সাথে গ্রহণ করতে শুরু করেছে।
একইসাথে তারা ইস্‌কনের কার্যক্রমের সাথে জড়িত হতে কেন্দ্রে (ইস্‌কন পোর্ট এলিজাবেথ-এ) আসতে শুরু করেছে।” বিভিন্ন সংস্থা এসকল উদ্যোগগুলিতে তাদের সমর্থন এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসছে।
যাইহোক, গৌরসুন্দর দাস এবং তার পত্নী বৃন্দা দেবী দাসী ছাড়া এগুলোর কোনটিই সম্ভব হতো না, কেননা যেখানে আজ ইস্‌কন পোর্ট এলিজাবেথ দাঁড়িয়ে আছে, সেই কেন্দ্রের জন্য জমি এবং ভবন দান করেছেন তারা। কম্বল বিতরণ উদ্যোগটি কয়েক বছর ধরে চলছে এবং এবছর ক্যাম্পেইনটি জুলাই ২০২১-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যাইহোক, ভক্তরা মাঝে মাঝে তাদের সেবার মাঝে বিপদের সম্মুখীন হয়। যেহেতু শহরের প্রান্তিক জায়গাসমূহে সাধারণত দরিদ্র মানুষ রয়েছে এবং তাদের মাঝে সহিংসতার প্রভাব বিরাজমান, তাই অধিকাংশ ভক্তরা বাইরে যান না।
বিতরণ প্রক্রিয়াটি দুজন আবাসিক সন্ন্যাসীদের দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা বিপদে সাহসী থাকে এবং তাদের সুরক্ষার জন্য তারা শ্রীনৃসিংদেবের উপর নির্ভর করে। দশ বছর আগে তারা একবারই ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছিল। ডাকাতরা ফুড ফর লাইফ কর্মসূচির সময় এসেছিল এবং বন্দুকের ভয় দেখিয়ে তাদের হুমকি দিয়েছিল। ভক্তরা আহত হননি। সৌভাগ্যক্রমে, তারা খিচুরির বিশাল পাত্রটি ছিনতাই করতে পারেনি যা অভাবগ্রস্থদের জন্য নির্ধারিত ছিল। পোর্ট এলিজাবেথ এবং এর দরিদ্র মানুষ আজ ইস্‌কন ভক্তদের কেবল দর্শনেই আনন্দিত হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।