এই পোস্টটি 279 বার দেখা হয়েছে
দুঃখ দুর্দশার মাঝে
আশ্রয়ের অনুসন্ধান
সর্বোচ্চ আশাহত অবস্থায়ও, আশা রয়েছে-যখন আমরা কৃষ্ণের দিকে ফিরে তাকাই
মুরারী গুপ্ত দাস
“আপনি কি অনুগ্রহ করে আমার স্বজনদের সাথে কথা বলবেন? একজন ডাক্তার বন্ধু আমাকে অনুরোধ জানাল আমাদের মন্দিরে এক রবিবারের অনুষ্ঠানের পর। তাদের ছোট পুত্রটি সম্প্রতি একটি দূর্ঘটনায় মারা গেছেন এবং তারা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত ।
আমি রাজি হলাম এবং মন্দিরের করিডোরের বাইরে তাদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলাম। তাদের পিতা বলল যে, কিভাবে তাদের পুত্র, বন্ধুদের নিয়ে বনভোজনে গিয়েছিল এবং নদীতে ডুবে মারা গিয়েছিল। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। আমি সহমর্মিতায় তাদের কথা শুনলাম এবং যখন তাঁরা আমাকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করল, তখন আমি এই ভেবে উত্তর দিলাম. যাতে তাঁরা এই কষ্টকর সময়ে আশার আলো খুঁজে পান। আধঘন্টা পর তাঁদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য সান্ত্বনা পেল, যদিও তাদের মা অনবরত চোখের জল ফেলছিল।
এরপর যখন আমরা বিচ্ছিন্ন হলাম, তখন আমার মনে আরেকটি গল্পের কথা মনে পড়ল যা আমি শুনেছি। এই ঘটনাটিও একটি সরোবরের ধারে ঘটেছিল এবং এটি একটি পরিবারে আকস্মিক বিপর্যয় নিয়ে এসেছিল, কিন্তু ঘটনার বলি ব্যক্তিটির ভিন্নতর মনোভাবের কারণে জীবন হরণকারী মহাসমস্যা থেকে মুক্ত হয়েছিল।
একটি ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
একবার গজেন্দ্র নামে একটি বৃহৎ হস্তিরাজ (হাতি) তাঁর স্ত্রী, সন্তান এবং অন্যান্য স্বজাতিদের নিয়ে সরোবরে গেলেন স্নান করতে। ঠাণ্ডা ও পরিষ্কার জলে তাদের মন অত্যন্ত সতেজ হয়ে গেল এবং তাঁরা তাঁদের শুঁড় দিয়ে একে অন্যের গায়ে জল ছিটিয়ে খেলা করতে লাগলেন। যখন সেই পদ্মের ন্যায় সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন সরোবরে সকলে হাস্যোজ্জ্বল ছিল এবং জলকেলি করছিল, তখন একটি কুমির আকস্মিকভাবে গজেন্দ্রকে আক্রমণ করল এবং দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরল। হস্তি তার বিপুল শক্তি সহকারে বীরোচিত প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেন, কিন্তু নিজেকে মুক্ত করতে পারলেন না। তাঁকে মৃতবৎ অবস্থায় দেখে তাঁর পত্নীরা কেঁদে উঠলেন। অন্যান্য হস্তিরা তাকে বাঁচানোর জন্য উপর থেকে টানতে লাগলেন কিন্তু যেহেতু জলের অভ্যন্তরে কুমিরের প্রচণ্ড শক্তি, তাই তাঁরা সফল হতে পারলেন না। সেই যুদ্ধ অনেকক্ষণ চলতে লাগল, ধীরে ধীরে হস্তির শক্তি নিঃশেষ হতে লাগল ।
অনিবার্য দুঃখ
এখনো শেষ না হওয়া উপরোক্ত ঘটনাটি শ্রীমদ্ভাগবতমে বর্ণিত হয়েছে যেখানে আরো বহু মূল্যবান জীবনযাপনের শিক্ষা বর্ণিত আছে। গজেন্দ্র হচ্ছে দুঃখে পতিত জীবের প্রতিনিধিস্বরূপ। তিনি এমন এক জীবনযাপন করেছিলেন যা অনেকের মতে আদর্শস্বরূপ অসীম শক্তিমত্তা, মর্যাদা ও নিয়ন্ত্রক, সুন্দর পরিবার এবং বন্ধু ও সকল প্রকারের অভিলাষিত রাজকীয়তা। কিন্তু এখন গজেন্দ্র কুমিরের ফাঁদে পতিত হল। একইভাবে আমাদের সমগ্র জগতই দুঃখে পরিপূর্ণ। দুঃখ বিভিন্নরূপে আসতে পারে, যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সন্ত্রাসী আক্রমণ, দুর্নীতি, রোগ এবং শোষণ। কুমিরের মত শোষণকারীরা পৃথিবীর সর্বত্র রয়েছে। আমরা হয়তোবা এখন নিজেকে নিরাপদ মনে করছি, কিন্তু তা খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য, হয়তোবা আমার জন্য কিছু সময় পর দুঃখের থাবা অপেক্ষা করছে। এই হল দুঃখময় পৃথিবী। আমরা হয়তোবা মনে করতে পারি যে, দুঃখ আমাদের জীবনের একটি অংশ এবং আমাদের সাহস ও দৃঢ়প্রত্যয়ের সাথে সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। কিন্তু এই দুর্যোগসমূহ মোকাবেলায় আমরা সাধারণত কি করে থাকি? আমরা আমাদের ব্যক্তিগত শক্তি, বুদ্ধিমত্তা, অর্থ কিংবা আমাদের বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন এবং রাজনৈতিক নেতাদের সাহায্য লাভের চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই আমাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। রোগ-ব্যাধি, দূর্ঘটনা এবং সন্ত্রাসবাদের কবল থেকে ধনী, বিখ্যাত কিংবা সুন্দর ব্যক্তিরাও রেহাই পায় না। কোনো এক সময় যখন আমাদের সকল কিছুই ব্যর্থ পর্যবসিত হবে তখন কি হবে? কে আমাদের বাঁচাবে?
এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য চলুন আমরা আবার গজেন্দ্রর ঘটনায় ফিরে যাই।
পরম নিয়ন্তার প্রতি শরণাগতি
যখন গজেন্দ্ৰ উপলব্ধি করলেন যে, তাঁর নিজের আত্মরক্ষার আর কোনো উপায় নেই এবং তাঁর বন্ধু, আত্মীয় বা স্ত্রী কেউই তাকে রক্ষা করতে পারবে না, তখন গজেন্দ্র প্রাণভয়ে খুবই ভিত হলেন। গজেন্দ্র ভাবলেন, “এটা নিয়তির বিধান যে, আমি এই কুমির কর্তৃক আক্রান্ত হয়েছি এবং তাই আমাকে অবশ্যই পরমেশ্বর ভগবানের কাছে আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে, যিনি সকলের আশ্রয়দাতা, এমনকি মহাত্মাদেরও। (শ্রীমদ্ভাগবতম ৮.২.৩১-৩৩)
গজেন্দ্র অত্যন্ত কাতর স্বরে ভগবানের নিকট প্রার্থনা জানালেন এবং শীঘ্রই ভগবান নারায়ণ তার সম্মুখে আবির্ভূত হলেন। গজেন্দ্র ব্যথায় কাতর হওয়া সত্ত্বেও তার শুড় দিয়ে একটি পদ্মফুল নিয়ে অনেক কষ্টে ভগবানকে নিবেদন করলেন। ভগবান তৎক্ষণাৎ কুমিরসহ গজেন্দ্রকে জল থেকে উপরে টেনে তুললেন। এরপর ভগবান তার চক্র দ্বারা কুমিরের মস্তক ছিন্ন করলেন, এভাবে গজেন্দ্র রক্ষা পেল।
তাই যখনই আমরা নিজেদের সমস্যায় জর্জরিত হব তখন আমাদের গজেন্দ্রের মত ভগবানের আশ্রয় গ্রহণ করা উচিত। এভাবে আমরাও পরমাশ্রয় লাভ করতে পারব। কৃষ্ণ হয়তোবা স্বয়ং আমাদের সম্মুখে আবির্ভূত হবেন না, কিন্তু তিনি অবশ্যই আমাদের সাহায্য করবেন।
দুর্দশার সূত্রপাত
আমরা হয়তো আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ভগবানের নিকট শরণাগত হই না। আমরা সাধারণত অপেক্ষা করি এবং ভাবি যে, একদিন এই দুর্দশা শেষ হবে। কিন্তু এটি হল অজ্ঞানতার প্রচণ্ড শক্তিশালী ক্ষমতা, যা সমগ্র বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
বৈদিক শাস্ত্রে উল্লেখ আছে, পরমেশ্বর ভগবান এই জড় জগৎ সৃষ্টি করেছেন আত্ম স্বাধীন ও ইন্দ্রিয় ভোগী বদ্ধ জীবাত্মাদেরকে সংশোধন করে তাঁদের ভগবানের নিজ ধামে নিয়ে যাওয়ার জন্য। স্নেহার্ত পিতার মত ভগবান আমাদের ইচ্ছেমত ইন্দ্রিয়তৃপ্তি সাধনের উদ্দেশ্যে এই স্থান সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু তিনি চান, এই মায়ারূপ জড় আনন্দ পরিত্যাগ করে আমরা যেন প্রকৃত আনন্দ লাভের জন্য তৎপর হই। সেই কারণেই তিনি তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে দুর্গাদেবীকে এই জড় জগতের ভার অর্পণ করেছেন, যাতে আমরা ধীরে ধীরে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হই। তাই সাধু ও শাস্ত্র আমাদেরকে পথনির্দেশ করছে, যাতে আমরা মায়ারূপ কুমিরের কামড় এবং এই অসীম দুঃখময় জড় জগতের কষ্ট থেকে মুক্ত হয়ে ভগবদ্ধামে ফিরে যেতে পারি।
আমরা যখনই এই জড় জগতে অবতীর্ণ হই তখনই দুর্দশা সদৃশ এই কুমিরসমূহ আমাদের আঁকড়ে ধরে। আমাদের সমস্ত প্রকারের প্রচেষ্টা এবং প্রত্যাশা থাকা সত্ত্বেও আমরা এর কবল থেকে মুক্ত হতে পারি না। আমরা তখনই এই জড় জগতের কুমিরের ছোবল থেকে মুক্ত হতে পারব, যখন আমরা গজেন্দ্রের মত বিনীত চিত্তে, সম্পূর্ণ অসহায়ভাবে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শরণাগত হব।
আমরা অনেক সময় ভাবি, আমাদের বর্তমান দুর্দশাগুলো এক সময় বিনাশ হবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা কৃষ্ণের প্রতি শরণাগত হচ্ছি, ততক্ষণ পর্যন্ত দুর্দশা থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব নয়।
অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগেও পরম সঙ্গী কৃষ্ণ
আমাদের যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কৃষ্ণ সর্বদাই আমাদের সহায়তা করেন। তিনি কখনই তার ভক্তদের অপূর্ণ রখেন না। তিনি হচ্ছেন সুহৃদং সর্ব ভূতানাং- সকলের সর্বোৎকৃষ্ট বন্ধু। তিনি আমাদেরকে একটি সম্পূর্ণ দিব্যজীবন দানের জন্য আমাদের হৃদয়ে সর্বদা অবস্থান গ্রহণ করেন। আমরা যা কিছুই করি না কেন, কৃষ্ণ কখনোই আমাদের পরিত্যাগ করেন না। তাহলে কৃষ্ণের চেয়ে অধিক সুহৃদ আর কে হতে পারে? কিন্তু জন্ম-জন্মান্তরে আমরা কৃষ্ণকে অবজ্ঞা, অবহেলা এবং পরিত্যাগ করে আসছি, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি সর্বদাই আমাদের সাথে আছেন। তিনি সবসময় অপেক্ষা করছেন এবং সর্বদাই আমাদেরকে একটি সুযোগ দানের জন্য উৎসুক থাকেন। তবে গজেন্দ্রর মত শুধুমাত্র এক মুহূর্তের জন্য ভগবানের শরণাগত হলে হবে না, আমাদেরকে জড় জগতের অবস্থানকালীন প্রতিটি মুহূর্তেই ভগবানের আশ্রয়ে থাকতে হবে।
কিন্তু যখন কোনো কুমির আমাদের এই দেহে কামড় দেবে না, তখন ভগবানকে ভুলে থাকা হবে সহজ। তখন পুনরায় আমাদের এই মায়ার জগতের অতৃপ্ত ইন্দ্রিয় তৃপ্তির বাসনা পুনর্জাগরিত হবে। তাই আমাদের এই ক্ষেত্রে গজেন্দ্রর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। মুক্তি লাভের পর তিনি এই জগতের পুনরায় আনন্দ উপভোগের জন্য লালায়িত হননি। কিন্তু গজেন্দ্রর যদি উপভোগের বাসনা থাকত তবে কৃষ্ণ তাকে পরিত্যাগ করতেন। তখন কৃষ্ণ তার শিক্ষার জন্য বলতেন, “ওহ্! তুমি এখানে আনন্দ উপভোগ করতে চাও, কিন্তু তোমাকে পুনরায় আরেক কুমির আক্রমণ করবে। তুমি এখনো প্রকৃত কুমিরের মুখ থেকে নিস্তার পাওনি। কিন্তু গজেন্দ্র কুমিরের কাছ থেকে নিস্তার পাওয়ার পর ভগবানের সেবা, ভগবানকে ভালবাসা ব্যতিত অন্য কোনো কিছুর অভিলাষ করেননি। তিনি ছিলেন ভগবানের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। কৃষ্ণ দেখলেন যে, গজেন্দ্রর আর কোনো জড় অভিলাষ ছিল না এবং সে এই জড় জগতের মিথ্যা মায়ার প্রতিজ্ঞার প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা হারিয়েছে। তাই কৃষ্ণ শুধুমাত্র কুমিরের কবল থেকে তাঁকে উদ্ধারই করলেন না, তাকে দিব্য বিমানে বসিয়ে বৈকুন্ঠ ধামে পাঠিয়ে দিলেন।
পবিত্র হরিনামই একমাত্র ভরসা
বর্তমান যুগে ভগবান, নামরূপে অবতরণ করেছেন যাতে আমরা জড়জাগতিক শক্তি তথা কুমিরের থাবার হাত থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি এবং পরমেশ্বর ভগবানের নিত্য ধামে প্রত্যাবর্তন করতে পারি। তাই গজেন্দ্রর মত বিনীত এবং একাগ্রচিত্তে ভগবানের শরণাগত হতে হবে আগামীকাল নয়, আজই, এই মুহূর্তেই। মানবিকতার শক্তি ও সহনশীলতার মহত্বে আমরা সকলকে সম্মান জানাতে পারি, কিন্তু অন্যদের কাছ থেকে সম্মান পাওয়ার আশা করব না–এই প্রকারের ব্যক্তিগণই ভগবানের শরণাগত হতে পারেন। এটিই শরণাগতির অর্থ। একটি বিশেষ ক্ষেত্রে শরণাগতির অর্থ হল আপনাকে যা করতে বলা হবে তা করা। কিন্তু গভীর পূর্ণ শরণাগতি বলতে বোঝায় ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কথার মাধ্যমে- “হে আমার ভগবান, এই পাদরতা দাসীকে আলিঙ্গনপূর্বক পেষণ করুন, অথবা অদর্শন দ্বারা মর্মাহতই করুন, আপনি আমার সঙ্গে যেরকম আচরণই করুন না কেন, আপনি সর্বদা আমারই প্রাণনাথ।”
গজেন্দ্রর এই শরণাগতি এবং শ্রীমদ্ভাগবতের এই শিক্ষা, যারা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে ভগবানের নামের প্রতি শরণাগত হয়েছে তাদের কাছে পরম আশীর্বাদসূচক। জড় অস্তিত্বের এই দুর্দশাময় অবস্থার কারণে আমরা সত্যিই অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে গজেন্দ্রর পথে অগ্রসর হয়ে কৃষ্ণনামে আমাদের হৃদয় থেকে কেঁদে উঠতে পারি। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কুমির সদৃশ দুর্দশা এবং মৃত্যু আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। যখনই কোনো ধরনের বিপদ বা দুর্দশার সম্মুখিন হব তখনই আমাদের সেই দুঃখকে বরণ করা উচিত এই ভেবে যে, “আমার আরো অধিক দুঃখে নিপতিত হওয়া উচিত। অথচ কৃষ্ণ সামান্য একটু কষ্ট দিচ্ছেন মাত্র।”
সমস্ত বিপদগুলো মূলত আশীর্বাদ। কেননা আজ, আগামীকাল কিংবা অন্য কোনো দিন আমাদের এই দেহের বিনাশ হবে। কিন্তু আমরা যদি একবার কৃষ্ণের কাছে শরণাগত হতে পারি এবং অত্যন্ত কাতরতার সাথে কৃষ্ণ নামের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারি, তবে আমরা দুর্দশা থেকে মুক্ত হবো। কৃষ্ণ আমাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন তার নিত্যধামে প্রত্যাবর্তন করে প্রশান্তি, আশ্রয় এবং অসীম আনন্দ লাভ করার জন্য। কেন আমরা কুমিরের জন্য অপেক্ষা করব?