এই পোস্টটি 1865 বার দেখা হয়েছে
মাধব দাস: আগামী ২০২০ সালের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার মনোনয়ন পেতে লড়ছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী তুলসী। তাঁকে বলা হয় প্রথম হিন্দু নারী ডেমোক্র্যাট ওমেন। তিনি সম্প্রতি ২০২০ সালের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন বির্তকে অংশগ্রহণ করছেন।
তুলসী গ্যাবার্ডের আরেকটি পরিচয় হল তিনি একজন কৃষ্ণভক্ত। তাঁর ব্যস্ত সিডিউল থাকা সত্ত্বেও তিনি ৮ জুন ওয়াশিংটনের স্কয়ার পার্কে অনুষ্ঠিত ইসকনের রথযাত্রা উৎসবে অংশগ্রহণ করতে নিউ ইর্য়ক থেকে চলে আসেন ওয়াশিংটনে।
তিনি রথযাত্রায় পৌছালে শ্রীমৎ রাধানাথ স্বামী মহারাজ তাকে অভ্যর্থনা জানান। তিনি মহারাজের প্রবচন শ্রবণ করেন। এরপর তিনি মঞ্চে উঠে বলেন “জয় ভগবান জগন্নাথ! সকল প্রশংসা কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের। রথযাত্রার এই তাৎপর্যপূর্ণ উৎসবে আমি উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের, আমি কিছু সময়ের জন্য রাজনীতিকে সরিয়ে আমার মন এবং হৃদয়কে সম্পূর্ণরূপে পরমেশ^র ভগবান এবং ভক্তদের চরণে অর্পণ করছি।”
এরপর তিনি হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৫ মিনিট ধরে কীর্তন পরিচালনা করেন। তার সাথে গিটার বাদক হিসেবে ছিলেন তার স্বামী আব্রাহাম উইলিয়াম এবং অন্যান্য ইসকন ভক্তবৃন্দ। শুরুতে মৃদুমন্দ ছন্দে কীর্তন শুরু করলেও শেষের দিকে অত্যন্ত উচ্ছাসের সাথে কীর্তন পরিচালনা করেন এবং উপস্থিত শ্রীমৎ রাধানাথ স্বামী মহারাজ ও অন্যান্য ভক্তবৃন্দ উদ্দ- নৃত্য-কীর্তনে মেতে উঠেন।
এছাড়াও তিনি জগন্নাথকে ময়ূর পাখা দ্বারা ভগবানের সেবা করেন। তিনি নিজেকে একজন বৈষ্ণব হিসেবে পরিচয় দেন এবং তিনি প্রথম মহিলা সাংসদ হিসেবে ভগবদ্গীতার উপর হাত রেখে শপথ বাক্য পাঠ করেছিলেন।
এছাড়াও তিনি সিএনএন টাউন হল মিটিং এ বলেন, “আমি সনাতন ধর্মের গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধারা অনুসরণ করি। আমি আমার জীবনে ভক্তিযোগ ও কর্মযোগের শিক্ষাকে আমার নিত্য দিনের কাজের অনুসাঙ্গিক হিসেবে গ্রহণ করেছি। ভক্তিযোগ হলো ভগবানের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে যুক্ত হওয়া। এটি অত্যন্ত গভীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক। কর্মযোগ হল এমন এক পন্থা যার মাধ্যমে আমরা শিখতে পারি কিভাবে আমরা আমাদের শক্তি ও দক্ষতাকে অন্যের সেবায় নিযুক্ত করতে পারি।”
তুলসী গাবার্ডের কীর্তন শুনতে ক্লিক করুন https://www.youtube.com/watch?v=Mol7nMo5Mj0