এই পোস্টটি 110 বার দেখা হয়েছে
শ্রীমৎ রাধানাথ স্বামী: জনার্দন নামে আর একজন ভক্ত প্রভুপাদকে জিজ্ঞাসা করল, “সব সময় লোকে বলে যে, ভগবান হৃদয় থেকে আমার সঙ্গে কথা বলেন, তাই আমার আর গুরু গ্রহণের প্রয়োজন নেই। এই ধরনের লোককে আমরা কী বলব? – ভীষণ গম্ভীর এবং কঠোরভাবে প্রভুপাদ বললেন, “এই প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিতে হবে তা তোমরা জান না? তোমরা আমার বইগুলো পড় না? তুমি একটা মূর্খ না হলে, এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে কেন পারবে না?” জনার্দনকে ভীষণভাবে ভর্ৎসনা করার পর ব্যাখ্যা করলেন যে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতায় বলেছেন যাঁরা প্রতিনিয়ত স্নেহ ভরে তাঁর সেবা করেন, যিনি, ভক্তিপূর্ণভাবে তাঁর সেবা করেন, আর যিনি কোন অবস্থাতেই পতিত হন না তিনি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন।” এই উত্তর তুমি কেন দিতে পারবে না? এই শ্লোকগুলি তোমরা কেন শেখো না?” তিনি এইভাবে জনার্দনকে ভৎসনা করেই চলেছেন। সেটি এতই কঠোর ছিল যে, প্রত্যেকে তখন ভেঙ্গে পড়েছে। প্রভুপাদের ক্রোধের সঙ্গে আমরা পেরে উঠতাম না। সেই বিষয়টি পরিবর্তনের জন্য কুলশেখর নামে আর একজন ভক্ত তখন প্রভুপাদকে একটি সাধারণ প্রশ্ন করল, কিন্তু প্রভুপাদ সেই জনার্দনের বিষয় নিয়ে তাকে আরও ভর্ৎসনা করলেন। তিনি বললেন, “তুমি হচ্ছ একটা গাধা। তুমি কেবল আমাকে বিব্রত করতে এসেছ। এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছি, যিনি ভগবানের সঙ্গে কথা বলেন, যিনি ঠিক ভগবানের পাশেই রয়েছেন। আমিই কেবল ভগবৎ সঙ্গ বর্জিত ব্যক্তি। তিনি ভগবানের কত নিকটে। তবুও আমি জানতাম, আমার নিজের চেতনার দরুণ, বাস্তবে আমি রয়েছি বহুদূরে। কিন্তু কোনও কৃপাবলে, প্রভুপাদের সান্নিধ্য হেতু, আমি ভগবানের খুব নিকটবর্তী হতে পেরেছিলাম। ব্যাপারটি ছিল বড়ই চমৎকার।
জানুয়ারি-২০২৩ প্রকাশিত