এই পোস্টটি 258 বার দেখা হয়েছে
সৎস্বরূপ দাস গোস্বামীর শ্রীল প্রভুপাদ লীলামৃত থেকে নিম্নের কাহিনিটি সংগৃহীত
১৯৭১ সালের এক গ্রীষ্মে, ইন্দ্রদ্যুম্ন দাস তাঁর গুরুদেব শ্রীল প্রভুপাদের সঙ্গে একই ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে গমন করছিলেন। উদ্দেশ্য লন্ডনে আয়োজিত রথযাত্রা উৎসবে অংশগ্রহণ করা। তখন বিমানের ভিতর চার্লি চাপলিনের একটি নীরব চলচ্চিত্র চলছিল। যখন ফিল্মটি শুরু হল, ইন্দ্রদ্যুম্ন দাস তখন শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা অধ্যয়ন শুরু করলেন। কিন্তু একসময় তিনি লক্ষ্য করলেন যে, দুই আসন দূরে বসে থাকা শ্রীল প্রভুপাদ সেই ফিল্মটি দেখছিলেন আর মুচকি হাসছিলেন। এটি দেখে ইন্দ্ৰদ্যুম্ন কিছুটা বিভ্রান্ত হল, কেননা তিনি জানতেন যে, ভক্তদের কোনো মুভি দেখার কথা নয়। কিন্তু এই ফিল্মটির প্রতি শ্রীল প্রভুপাদের সম্মতি দেখে, তিনি অধ্যয়ন বন্ধ করলেন এবং প্রভুপাদ ও তাঁর সেবকের সঙ্গে সঙ্গে চার্লি চাপলিনের এ কৌতুক অভিনয় দেখে হাসতে শুরু করলেন।
যখন ফিল্মটি শেষ হল, ইন্দ্রদ্যুম্ন তখন বিমানটির পেছনে প্রভুপাদের সেবক প্রদ্যুম্ন দাসের সাথে সাক্ষাৎ করলেন। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন কেন শ্রীল প্রভুপাদ ফিল্মটি দেখে হাসছিলেন। প্রদ্যুম্ন বললেন, তিনি শ্রীল প্রভুপাদকে সেটি জিজ্ঞাসা করবেন। প্রদ্যুম্ন তখন হাসতে হাসতে ফিরে এসে বললেন, “প্রভুপাদ বললেন যে, কৃষ্ণই হলেন সবকিছুর পরম উৎস এমনকি কৌতুকেরও এবং যেহেতু চার্লি চাপলিনের কৌতুক ছিল অভিনবত্ব, প্রভুপাদ তার মধ্য দিয়ে কৃষ্ণকে দর্শন করছিলেন।” ইন্দ্রদ্যুম্ন তার আসনে ফিরে গিয়ে ভাবছেন, কীভাবে শ্রীল প্রভুপাদ সর্বত্র কৃষ্ণকে দর্শন করতেন।
শ্রীমৎ ভক্তিবিকাশ স্বামী তাঁর এক গ্রন্থে এ ঘটনাটি সম্পর্কে উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন এভাবে। মি. চাপলিন কখনো সেটি জানে না যে, লক্ষ লক্ষ লোকের মধ্যে তিনি এমন একজন ব্যক্তিকে হাসালেন, যিনি হলেন শ্রীকৃষ্ণের শুদ্ধভক্ত। তাই শ্রীল প্রভুপাদের কৃপায় এমনকি চার্লি চাপলিনও অজ্ঞাতসারে ভক্তিপ্লুত সেবা সম্পাদন করলেন।
ত্রৈমাসিক ব্যাক টু গডহেড, জুলাই – সেপ্টেম্বর ২০১৪